মোহমায়া
কবি তার কবিতায় মূলত নিজের গভীরতম অনুভূতির অনুবাদ করেন। তার এই অনুবাদ বাঙময় হয়ে ওঠে শব্দ, কথা, বাক্য ও বর্ণে।এ্যানি আক্তার কবি হিসেবে নবীন। কিন্তু তার অনুভব গভীর। তিনি সেইসব অনুভব কালো কালির আঁখরে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন পাঠকের কাছে। তিনি ব্যক্ত করেছেন হৃদয়ের আকুলতা-
‘চন্দ্রিকার অধরে কবিতা দেখে
তুমি জানতে চাইলে কবিতাটি কার?
…….
আমি ভাবি পাশাপাশি আমরা তবু যোজন যোজন দূর,
মাঝে নির্লিপ্ত বেদনার পাহাড়’।’
কথাগুলো কথকের কথকতা থেকে মুহূর্তেই হয়ে যায় পৌষের রাত্রিতে ঝরে পড়া শিশিরের হাহাকার। তা টুপ করে ছুঁয়ে যায় বুক। না বলা অসুখ।সেইসব না বলা অসুখের নিঃসঙ্গতায় এইসব অনুভব হয়ে উঠুক পাঠকের প্রিয়তম প্রিয়জন – ফ্ল্যাপটি লিখেছেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ‘সাদাত হোসাইন’
জলকাব্য
কবিতা আমার কাছে অব্যক্ত অনুভূতি প্রকাশের সহজতম মাধ্যম। আসলে আমি কবিতা লেখার থেকে পাঠ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে মাঝে মধ্যেই অব্যক্ত অনুভূতিগুলোকে কবিতায় ব্যক্ত করার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টায় ভর করে যে একদিন বই বের করবো এমনটা ভাবনায় ছিলো না। তবুও একদম হুট করেই বই আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শুধুমাত্র পাঠকদের এমন মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েই- “আপনার লেখায় যেন নিজের মনের না বলা কথা প্রকাশ হয়।” জ্বী এমন সব মন্তব্যই আমাকে বই করার জন্যে সাহস যুগিয়েছে। বইয়ের সাথে আমার এই পথচলা কতটা দীর্ঘ হবে তা সত্যিই জানি না, তবে আমার প্রথম বই নিয়ে পাঠকদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অধির আগ্রহ নিয়ে বসে আছি আমি। এখানে কবিতাগুলো কতটা কবিতা হয়েছে তার বিচারের ভার না হয় পাঠকরাই নিলেন।
আশা করি আমার এই পথচলায় ভুলত্রুটিগুলো সকলে শুধরে নিবেন নিজের মতো করেই।
সবশেষে বলবো আমি আপনাদের সকলের সহযোগীতা ও দোয়াপ্রার্থী।
– এ্যানি আক্তার
আমার শুধু এই তুমিটাই চাই
এ্যানি রং, তুলি দিয়ে কবিতা আঁকে। তার শব্দ চয়ন, বাক্যের গভীরতায় মুগ্ধ হতে হয়। কী মায়া প্রতিটি দৃশ্যকল্পে! বাণিজ্য নিয়ে পড়াশোনা করলেও মানুষের জীবন, আর জীবনের গল্পের প্রতি মমত্ববোধ দেখানোর সময়ে কোন হিসেব নিকেশ মানতে দেখিনা। আবৃত্তি শিল্পী, উদ্যোক্তা এইসব পরিচয়ে পরিচিত হলেও তার লেখক পরিচয়টাই জরুরি হয়ে উঠেছে।
তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ জলকাব্য এবং মোহমায়া এর মাঝেই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। তার নতুন বই পাঠ করে টের পাই বুকের ভেতর পৃথিবী সমান অভিমান পুষে রেখেছে সে। কীসের জন্য এক অপেক্ষা, হাহাকার টের পাওয়া যায়। মনে শূন্যতা, মায়া নিয়ে কবি বলেন, তোমাকে দেখবো বলে এক উত্তাল সমুদ্র পুষে রাখি চোখে…।
‘আমার শুধু এই তুমিটাই চাই’ এই নামে আসছে তার নতুন কাব্যগ্রন্থ। বইয়ের পাতায় পাতায় শোক দেখে মনে হয় বাতাসে শোনা যাচ্ছে মর্সিয়া গীতি। কত অভিযোগ তার প্রিয় মানুষদের নিয়ে। তাইতো প্রিয় মানুষকে সহজ করে বলে বসেন, কেমন করে বাঁচো? এই বইতে তার পথচলা দেখে মনে হয় এখন আরও বেশি পরিণত সে। মানুষের মন নিয়ন্ত্রণ করা কলমের খোঁজ পেয়েছেন হয়তো!
তবে চলুক এই বিষাদের জীবন ছুঁয়ে দিয়ে একের পর এক কবিতা বোনা। পাঠকের মন জয় করতে আসুক আরও কবিতা।
শুভকামনা জানাই।
প্রিয় হয়ে উঠুক ‘আমার শুধু এই তুমিটাই চাই’।
Reviews
There are no reviews yet.