সূর্যদেব ও সবচেয়ে শক্তিশালী টাইটান হেলিওস এর ঘরে জন্ম নেয় এক কন্যা। কিন্তু সার্সি সন্তান হিসেবে বড় অদ্ভুত-তাঁর না আছে বাবার মতো ক্ষমতা আর না আছে মায়ের মতো ভয়ঙ্কর লোভনীয় সৌন্দর্য। ঐশ্বরিক জগত থেকে প্রত্যাখ্যাত, প্রচণ্ড একাকী সার্সি, সঙ্গীর খোঁজে হাত বাড়ায় নশ্বর জগতে। অবাক হয়ে সে আবিষ্কার করে তাঁরও ক্ষমতা আছে। দেবতাদের জগতে নিষিদ্ধ সে ক্ষমতার নাম-জাদুবিদ্যা।
চাইলেই সে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বদলে দিতে পারে দানবে, ভয় দেখাতে পারে দেবতাদের। আতঙ্কিত জিউস তাঁকে নির্বাসন দেয় এক নির্জন দ্বীপে। নির্জনবাসে আরো শানিত হয় তাঁর বিদ্যা, বশ মানায় হিংস্র শ্বাপদকে। কিন্তু তাঁর নির্জনবাস এক সময় আর নির্জন থাকে না। সময়ে সময়ে সেখানে এসে হাজির হয় বিখ্যাত সব পৌরাণিক চরিত্র-মিনোটর, ডেডালাস আর তাঁর পুত্র ইকারাস, খুনী মিডিয়া, এবং কৌশলী ওডিসিয়াস।
কিন্তু একজন একাকী নারীর জীবনে বিপদও আছে। অজ্ঞাতসারেই মানুষ আর দেবতাদের রোষ নিজের দিকে টেনে আনে স্বাধীনচেতা সার্সি। নিজেকে সে খুঁজে পায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ এক অলিম্পিয়ানের বিপরীতে। এবার তাঁর প্রিয় মানুষকে বাঁচাতে বদ্ধ পরিকর সে। তাকে প্রয়োগ করতে হবে ক্ষমতার শেষ বিন্দুটুকু। শেষবারের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাকে, কোন পক্ষ বেছে নেবে সে, সেই দেবতাদের যাদের ঘরে সে জন্ম নিয়েছে না-কি মর্ত্যের নশ্বরদের যাদের সে ভালোবেসেছে?
‘একটি চিত্তাকর্ষক পুনঃকথন…যা সুপ্রাচীন গল্পের প্রকৃত বর্বরতা আর আতঙ্কের শীতলতা অক্ষুন্ন রেখেছে’-ডনা টার্ট, দ্য টাইমস।
‘মিলারের গদ্য হোমারের যে-কোনো অনুবাদের চেয়েও কাব্যিক…গভীর মর্মস্পর্শী’- ন্যাটালি হাইন্স, অবজার্ভার।
Reviews
There are no reviews yet.